সদ্য খবর
reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩ মাস আগে
Shares
facebook sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
sharethis sharing button

স্যানিটারি ন্যাপকিন দেশের ১৭ ভাগ নারী ব্যবহার করেন

দেশে নারীদের মাত্র ১৭ দশমিক ৪ ভাগ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এর ফলে শুধু তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই বৃদ্ধি পাচ্ছে না, অনেক কিশোরী শিক্ষা ও সামাজিক সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

এছাড়া অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে এবং সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের কারণে নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি সংক্রমণের হারও আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে নারীর শারীরিক সুরক্ষা ও মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ‘ইনসিওরিং সেইফ মেন্সট্রুয়াল হাইজিন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন ওজিএসবি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড সেনোরা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অর্গানাইজেশন অব গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সভাপতি প্রফেসর ডা. ফারহানা দেওয়ান, দেশের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, ওজিএসবি-এর সদস্য এবং স্কয়ার গ্রুপের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, ক্যান্টার-এর ২০২৪ সালের হাউসহোল্ড পেনিট্রেশন ডেটা অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ১৭.৪% নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন।

আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে পিরিয়ডের সময় পুরনো কাপড়, তুলা কিংবা রাসায়নিক সুগন্ধিযুক্ত ভ্যাজাইনাল প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে ৯৭% নারী তাদের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময় সার্ভিকাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন।

এছাড়া, দেশে ৬৮% কিশোরীর প্রথম পিরিয়ড শুরুর মাত্র চার বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়, যা তাদেরকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। একইভাবে, ৪০% স্কুলছাত্রী মাসিকের সময় গড়ে তিনদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, যা তাদের শিক্ষাজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রায় ৬০ লাখ নারী কর্মী পিরিয়ডের সময় গড়ে ছয় দিন কাজে অনুপস্থিত থাকেন, যা শুধু তাদের আর্থিক অবস্থার উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না, বরং শিল্পখাতের উৎপাদনশীলতাকেও ব্যাহত করে।

  • সর্বশেষ